ফের বজ্রাঘাতে মৃত‍্যু চাঞ্চল‍্য এলাকাজুড়ে , শোকস্তব্ধ পরিবার

19th June 2021 7:23 pm বাঁকুড়া
ফের বজ্রাঘাতে মৃত‍্যু চাঞ্চল‍্য এলাকাজুড়ে , শোকস্তব্ধ পরিবার


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ফের বাজ পড়ে মৃত্যু সারেঙ্গায় । মাঠে গরু চরানোর সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক মহিলার । আহত আরও ছয় । বাঁকুড়া সারেঙ্গা ব্লকের  গোয়ালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট আমলা তলার ঘটনা। জানা গেছে মৃত মহিলার নাম সন্ধ্যা মাহাতো। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকালে অন্যান্য দিনের মতো সন্ধ্যা মাহাতো গরু নিয়ে ছোট আমলাতোড়া সংলগ্ন আমডিহা মাঠে যান গরু চরাতে। দুপুরের দিকে গরু-বাছুর বাড়ি ফিরে এলেও সন্ধ্যা মাহাতো বাড়ি ফেরেননি, সেই সময় প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। পরিবারের সন্দেহ হওয়ায় তারা ওই মাঠে গিয়ে দেখেন সন্ধ্যা মাহাতো অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শরীরে বজ্রপাতে আহত হওয়ার চিহ্ন রয়েছে। দ্রুত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে সারেঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ওই মাঠে কাজ করার সময় পাশের আমলাতোড়া গ্রামের আরও ৬ জন ব্যক্তি বজ্রপাতে আহত হন তারা সারেঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র আসেন চিকিৎসার জন্য তাদের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মৃত ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য সূর্যকান্ত সিনহা মহাপাত্র। তিনি ঘটনার খবর পেয়ে মৃতের পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং দলীয়ভাবে ও প্রশাসনিক ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।